সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপিতে চাঁদাবাজের ঠাঁই নেই : মাহবুবুর রহমান ৯ মাসে ছয়শ’র বেশি ধর্ষণ এনসিপির কেন শাপলাই চাই? সুনামগঞ্জে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলো শারদীয় দুর্গোৎসব ৪০০ ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচ, শতকের কাছাকাছি বেশিরভাগ সবজি ‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সাহসী ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

  • আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৮:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ০৮:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সাহসী ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
টাঙ্গুয়ার হাওর কেবল একটি জলাভূমি নয় - এটি একটি জীবন্ত প্রাণতন্ত্র, যেখানে হাজারো প্রজাতির মাছ, পাখি, উদ্ভিদ এবং হাওরবাসীর জীবনের গল্প বয়ে চলে যুগের পর যুগ। রামসার ঘোষণাপ্রাপ্ত এই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জলাভূমিটি বাংলাদেশের জন্য গর্বের প্রতীক, কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সেই গর্ব এখন পরিণত হয়েছে এক আশঙ্কাজনক বাস্তবতায়। গত ২ জুলাই স্থানীয় দুটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন- ‘টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন’ এবং ‘পর্যটনের নামে ধ্বংস হচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য’ - সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীরের দৃষ্টি কেড়েছে। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এই সাড়া শুধু আইনি নয়, এটি এক নৈতিক প্রতিবাদ - প্রকৃতি যখন চিৎকার করে, তখন অন্তত একজন শ্রবণশীল থাকেন। এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি আইনি প্রক্রিয়ার সূচনা নয়, বরং রাষ্ট্রকে একটি বার্তা - এই হাওরের কান্না শুধু আদালত শুনলে চলবে না, এখন রাষ্ট্রকেও জেগে উঠতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওরে যেভাবে অনিয়ন্ত্রিত হাউসবোট চলাচল করছে, অভয়ারণ্যে শিকার ও নৌযান চলছে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে - তা শুধু পরিবেশ রক্ষার আইন নয়, মানবতা ও রাষ্ট্রিক দায়িত্ববোধকেও লঙ্ঘন করে। আদালত কর্তৃক তাহিরপুর থানার ওসি ও পিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাউসবোটের তালিকা, মালিকানা, বৈধতা এবং পরিবেশ বিধির আওতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। এসব নির্দেশনা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী। আমরা মনে করি, টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় এখন প্রয়োজন একটি সমন্বিত নীতিগত অবস্থান, যেখানে প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনগণ সবাই এক সাথে কাজ করবে। প্রয়োজন হলে হাওর ব্যবস্থাপনায় পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন, জবাবদিহিমূলক পরিবেশ পর্যটন নীতিমালা এবং অবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওর বাঁচলে বাঁচবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য এবং হাওরকেন্দ্রিক একটি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও। তাই এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের নির্লিপ্ত থাকা মানে এক ভয়াবহ ধ্বংসকে অনুমোদন দেওয়া। আদালত তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন রাষ্ট্রের পালা- নীরবতা নয়, এবার চাই সাহসী ও কার্যকর পদক্ষেপ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স